ঘৃণা
আদিম পশু যখন হাসে তখনও সে আদিমই থাকে
আমাদের সভ্যতা তাদের জন্যে
কোন চিরস্থায়ী ব্যবস্থার পরিকল্পনা করে নি...
শিশুদের মাঝে সে শ্বাপদের খেলা খেলে
পাঠায় ধন্বন্তরি কবচ, মাদুলি আর দোনলা বাঁশি
আমাদের ধাতব সংযম সব দ্যাখে চোখ খুলে
আমাদের পরমান্নে যে দিয়েছে বিষ
তাকে চিনে নিতে লাগে মুহূর্ত সময়--
ধনুক থেকে তির উড়িয়ে দিলাম অচেনা অন্ধকারে
আততায়ীকে আর ভয় করিনা কেউ
ছেনাল হাসিকে পাশ কাটিয়ে যাই কত অবহেলায়
তার চেরা জিভ দেখেছি সবাই
আমাদের বুক জুড়ে জমে আছে ঘৃণা, শুধু ঘৃণা
নরকের পথ
খন্ড মুহূর্তগুলি এভাবেও ঝরে যেতে পারে
ঝরে যায় ঝড় ও ঈষৎ বৃষ্টির রাতে...
বহুদূরে কেউ দ্যাখো সাজিয়ে দাবার ছক
অপেক্ষায় থাকে প্রতিপক্ষ-বন্ধু আসার
একা একা দান দ্যায়, একা একা গজ, নৌকো খায়
আবার সাজায়
পিশাচের বাস ঈশানকোণেই, এটা নিশ্চিত
ছায়া-পুস্তকেও মাঝে মাঝে রাবড়ি লেগে থাকে
আমরা থাকি পিঁপড়ে তাড়ানোয়...
সংখ্যালঘু হলেও জোটবদ্ধ হই না কখনও
নরকের পথ একাই হাঁটার...
এই লেখাটা শেয়ার করুন