দ্য লস্ট হরাইজন
এভাবে যেতে যেতে একদিন "শাংগ্রিলা" যাওয়া যাবে, ওখানে জরা নেই, মৃত্যু নেই, অবারিত সুখপ্রান্তর, কিশোর ভগবানেরা খেলতে গিয়েছিল সেখানে, ফেরেনি, আটকে গেছে তারুণ্যে ভেজা ফানুসগুলো চকিত অরণ্যের গ্রীণহাউসে, জরা আর অবারিত সুখপ্রান্তর এ আমার কামনা নেই, ঐসব নিষেধের ভরা জমিনে লাল ফলের জন্ম হয়, চমরী গাভীর পশম সোনালি চাহিদা হয়ে পাথরে পাথরে ঘুরে বেড়ায়, সৌম্যদর্শন এক তিব্বতী পুরুষ আছে, পৃথিবীর পোশাক তার গায়ে, তাকে ছুঁতে গেলে পৃথিবী থেকে দলছুট হতে হবে, একতারা হাতে নিতে হবে, দুধর্ষ পাগলামো, তবেই টুক করে পৃথিবীর পোশাক খুলে যাবে, এমনকি মহাসাগরের পর মহাসাগর রাশ রাশ ঢেউ নিয়ে যার যার মাটি চিনে নেবে, আমি তখন তার চেরা বুকে ঢুকবো, সব সীমারেখা মুছে টুছে গম্ভীর পাহাড়, অহংকারী গোবি, আমি ভেতরে, হারিয়ে গেছি শাংগ্রিলায় , অসুখ কিংবা সুখ নয় একটু হাঁটার ইচ্ছে সীমারেখা ছাড়িয়ে।
সন্ধ্যা
এই তো আমি খুলে দিলাম সন্ধ্যা
নক্ষত্ররা এসো, এখানেই হোক তবে আড্ডা
প্লেটের ঢালে ক্লান্ত পাঁপড়, একটুখানি ঠান্ডা চা
তোমার মতোই কিনেছে সে একমুঠো বিষণ্ণতা
এমন করে তাকাও যেন আটলান্টিকে ডুবছে জাহাজ
রাস্তা হারানো সাইকেল এক, দেয়াল জোড়া তুচ্ছতা
তোমার ছায়ায় লেপ্টে আছে ক্লাসফাঁকি অন্যমনস্কতা
এইখানে খুঁজতে গিয়ে আকাশ জোড়া মেঘ হলো
থাক তবে একথা সেকথা, আধফোঁটা খই পালতোলা,
মাস্তুলেই রাখা আছে ফিরে আসার ঠিকানা।
এই লেখাটা শেয়ার করুন