স্বগতোক্তি
তুমি কোন দোষ কর নি,
কামনায় দোষ নেই কোন।
ফুলকেও দেখেছি
ভ্রমরের সাথে
পরাগ মেলাতে
মেতে আছে।
আমি আজ অন্ধকার
কালোর গভীরে
খুঁজে পেয়েছি এক
আলোর সন্ধান।
যে আলো মুঠোয় করে
সকল প্রেমিক
খুঁজে নিয়েছিল – পথ।
সেই পথ তৃষ্ণায় নিহিত।
সংসদীয়
মেয়েটি বলল, “আমি ছেলে”
অমনি সংসদে তা
সহর্ষ ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল।
সে বলল, ‘ঘোড়া আনো”।
অমনি সহিস ও নারায়ণী সেনা
কাতারে কাতারে নেমে এল,
তিনি এলেন ঘোড়ায় চড়ে
টগবগ টগবগ করে
এটা তার বাপের বাড়ি
সুতরাং নিজের বাড়ি
অতএব ‘মুড়ো খাবো’
তিনি মুড়ো খান
চিবানো হাড়ে সমাজতন্ত্র
ঝলসে ওঠে।
মারীচ
সে এখনো খেলা করে ছুঁয়ে যায় কচি নালীঘাস
স্বচ্ছ দীর্ঘিকার জলে তার ছায়া
সে এখন মৃদুমন্দ চলে আসে
অনুপম সবুজ বাগানে
ফুলগুলি গন্ধ ঢেলে আশায় আকুল
বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে মায়াবী হরিণ
খেলা করে মানুষের হৃদয়ের গভীর প্রদেশে
একদিন শিশু ছিল আজ বেশ নাদুসনুদুস
সুমসৃণ গ্রীবা তোলে কান পাতে
কথা ছিল শুনে যাবে
ব্যথাতুর মানুষের আসল খবর
মায়াবী হরিণ শুধু খেলা করে সাতাশ বছর।
কতদিন বাকি আর ?
হে মারীচ কতদিন আর!
স্বর্ণরূপ ছেড়ে দাও নিয়ে নাও আসল বাহার
কস্তুরীর স্বপ্ন শেষ নাকে তীব্র গন্ধকের ঘ্রাণ
সূর্পনখ ব্যর্থ আজ
আদিগন্তে প্রস্তুতির গান।
তিনি
তিনি উঠে দাঁড়ালেন মাইক্রোফোন নিয়ে
মাইক্রোফোনে গলা তা৬র খোলে ভাল
বাহাদুর খাঁর সরোদ-উৎসবে
তাঁর আঁতেল পাঞ্জাবি উপছে
কণ্ঠা দেখা যায়
তিনি নান্দীপাঠ করলেনঃ
ন বিদ্যা সঙ্গীতাত্ পরা
তিনি কবি
ভদকা ও গোলাপ নিয়ে কারবার
এবং এষ্টাব্লিশমেন্ট বিরোধী বলে নাম আছে
পাদপ্রদীপের আলোয় মাদুলি
বড় জ্বল জ্বল।
নীলকণ্ঠ
সমকাল দিয়েছে যন্ত্রণা আরো দিক
যন্ত্রণায় ফাটছে চৌদিক
বিষ হানো তীব্র সেঁকো বিষ
অবিরাম প্যান্থারের শিস
প্লুত স্বরে নীলকণ্ঠ ইথারে করুণ হয়ে বাজে
চারপাশে তীব্র নীল বিষ
নীল বিষ অদ্ভুত লালসা
সমকাল কুটে কুটে খায়
নিসর্গের ভাষা
নীলকণ্ঠ মাথা তোলে তবু
পাখা ঝাপটায়
ফ্ল্যাসব্যাকে স্বপ্ন শুধু দেখে
স্বপ্নে যায় তাজের চূড়ায়
ভেতরে গুমরে মরে স্বর
নীলকণ্ঠ অর্ধমৃত
নীলকণ্ঠ অর্ধনারীশ্বর
কবচকুণ্ডল ঐ রেখে দিল
আয়ত বিশাল দেহ মেলে দিল
তির হানো তীব্র সেঁকো বিষ
নীলকণ্ঠ বস্তুত ঈশ্বর।।
এই লেখাটা শেয়ার করুন