বিষণ্ণ শরীরের কাছে
বিষণ্ণ শরীরের কাছে শুয়ে আছি বহুদিন।
বহুদলীয় অভ্যেসের মতো গুলিয়ে ফেলছি বিকেলের মিহি-তাঁত
কাগজের ভাঁজে শুকনো পদ্মপাতার একলব্য সুর
অকারণ হেঁটে যায় বালিকার অস্থির পায়ে
ক্লান্ত ডানা আবার যেন উড়ে যাবে কোথাও
নির্ঘুম বিচালি পাতাটি বারেবারে বাতাসকে ডাকে
অঘ্রাণের কুড়ানি পত্রে দু’ছত্র জানালাম তাই
মন্দ শরীরের উচ্ছন্ন বাতাস ভারী ভারী মনে হয়
পরবাস
ফুলের রেণু বাতাস ছুঁলে পাখিদের থাবার সুকৃতি
মুখরিত চারিদিক। অনন্ত আনন্দের কিছু বাটোয়ারা
ছড়িয়ে পড়ে গরিমার শুকনো জমিতে। বহুদিন
নাব্যতাহীন পিলুরাগের অতন্দ্র ব্যাকুলতা আকৃতি
দেয় গহন গভীরে। ছুটি পায় গুঁড়ো গুঁড়ো উপশমগুলি
মৌসুমি ঝড়ের ডাল দুমড়ে-মুচড়ে একসার, কবচের
রক্ষা ভেঙে উঠে আসে জানালার কুহক
দিনের পরবাসী রাতের বিষাদ ঝেড়ে ফিরে আসে বারবার
এই লেখাটা শেয়ার করুন