ছেলেখেলা
হাঁটতেছিলে নদীর সাথে হাঁটো
ঘুমোচ্ছিলে পাহাড় হয়ে ঘুমোও
মাস না-যেতেই চুলদাড়িটা ছাটো
মেপেজুখে জীবনটাকে সাজাও।
খুঁজতেছিলে সময়টাকে খোঁজো
না-ঘুমোলে স্বপ্ন দেখা বারণ
কে বলে দ্যায় মুখের কথাগুলো?
দিনালোকে হাওয়ার এমন শাসন!
নিকট বলতে কিছুই পেলামনা যে
দুঃখঘৃণা সবই দূরের জন্যে
মোমবাতিটা জ্বলুক অচিনপুরে
চিনতে তোমায় কেঊ হবেনা হন্যে।
মনের কথা মনেই থেকে গেল
কলম চুঁইয়ে বর্ষা সারাবেলা
নদী-নাওল মাটির সাথেই যাবে
টেবিল জুড়ে শুধুই ছেলেখেলা।
শূন্য ১
এ ফাঁসের দড়ি নাকি বিদ্যুৎলতা
ঝুলতে গিয়ে এমন ভেবেছিল
তারপর ঝটকায় ---
সব তারা একসাথে জ্বলে উঠেছিল।
এই দরশন বুঝি সব মানুষই চায়
সব গাছ নেয় না সে ভার
ফলও ফলে না একারণে।
শূন্যে ঝুলে থাকে আমারই প্রাণকেন্দ্রে।
শূন্য ২
শূন্যতা এমন কেন, যেন আমি অন্ধ
নয়নের মণি নেই নৌকোর খোলস
জানালার চোখ দেখে হাওয়ায় চেয়ে --
ডানাহীন পতঙ্গের অদৃশ্য ওড়ান।
শূন্যতা এমন কেন, যেন আমি অন্ধ
শূন্যের বিকল্প তবে আমার-ই আমি
নিজেকে খুঁজতে গিয়ে পাইনি কিছুই
ভাষাহীন অন্ধকার জবানবন্দির।
ঘুমে ঘুমে নদী হই
ঘুম এল বলেই এত কথা
যদি পিছলে যাই, একটু ধরবেন প্লিজ
হাঁটবেন, হাঁটাবেন।
কত কিছু বলে যাবো ঘুমের ঘোরে
যা-সব আমিই শুনবো না
যদি পুনর্শ্রবন করি বুঝবো কতটুকু
ডুবে থাকা ছিল জলহীন
আপনি ছাড়বেন না প্লিজ
হাঁটবেন, হাঁটাবেন যতক্ষণ না
স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। ততক্ষণে
আমার কথা শেষ হয়ে যাবে
শুরু হবে স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নের
পরতে পরতে জয় ব্যথা চমকে ওঠা
বুঝবেন এইমাত্র ডুবতে শুরু করেছি
সাঁতার জানিনা বলে ডুবে থাকি
ডুবতে ডুবতে শেষে মলাটে ঠাঁই মিলে
এখানেই প্রশান্তি। কবিও এখানে এসে
অন্য কোথাও ডুব দেন পুনর্বার।
আর আমি ঘুমে ঘুমে নদী হই
ডুবি ভাসি, দিন ভাঙি রাত গড়ি
রাত ভাঙি, দিন গড়ি।
সুর যায় কিনারায় বালি ফেলে ফেলে ---
এই লেখাটা শেয়ার করুন