নারী
শঙ্কিত পায়ের ছাপ রেখে ধুলোমাখা উঠোনের বুকে
চলাচল করেছিল যে, সে আজ
উদ্ভিন্নযৌবনা।
ভোরের আলোর স্বচ্ছ কুহক-আলো
এখন বিকেলের রক্ত-আলোর ধারাস্রাবে
উন্মুক্ত-প্রখর।
নারী কাঁদে, মৃত্যু আবাহন কাম্য হয়
তার কাছে, হায় ! শিকল দৃশ্যমান
না হয়েও পাকে পাকে বাঁধে তাকে
লতা-গুল্মের অরণ্য-বাঁধন।
মিডিয়ার ভাঁজে ভাঁজে আদিম আঁধার
শীৎকারের ধাতব শীতলতায়
ছেয়ে যায় চারপাশ। তবু বলি,
কাছে আয় মেয়ে, তোর করাঙ্গুলিতে
লেগে থাকা রক্তবিন্দু লাগুক এই হাতে।
সপ্তডিঙ্গা মধুকর-বেহুলা জীবন গাথা
পুনরায় লেখা হোক, তৈরি হোক
নব্য মনসামঙ্গল।
এই লেখাটা শেয়ার করুন