একটি বাউলের মৃত্যু
রাধাচূড়া গাইছিল দুলে দুলে হাওয়ার ভেতর
সবাই বলত, নিরিবিলি সকাল কণ্ঠে।
শহর ফিরছিল ফেরি করে বাণিজ্যিক,
দক্ষতায় দাঁড়ায় ক্রিয়াশীল চেতনা আড়চোখে।
রাধাচূড়া মেলে দু-বাহু পদ্মনাভি বুক গভীর শীতল
বাউল মনের সুখ শ্রাবণী বিন্দুতে ভিজে পূবালী শাখায়।
কাঠপিঁপড়ের আগাম বার্তালাপ ----
রাধাচূড়া, যাসনে ওই আতর সভ্যতায়,
ছিপি খুলতেই সব ওড়ে!
মাটি নেই ক্ষুধার শান্তি নেই আগুন বুকের ভেতর
প্রাণহীন মোমের মিউজিয়াম শৌখিন,
বাক্যের মগ্নতা নেই এলোমেলো প্রলাপে ধুম জ্বর নেই
অসুখের তাপে স্নায়ু।
উদভ্রান্ত মঞ্চে দাঁড়ায় নষ্ট বায়ু!
রাধাচূড়া, সেখানে ঝাঁঝালো গন্ধ মজা ডোবা
নালা পদ্মপাঁকের ভেতর অশালীন মৃত্যু।
পা মাড়িয়ে পায়ের কাছে সে মৃত্যু জীবন থেকে দূর
দূর...... বহুদূর,
মৃত্যুর আগেই শরীরে প্রিয় বাঘের থাবায় জ্যোৎস্না কাঁদে!
একী এ যে তোমার নিথর দেহ রাধাচূড়া!
নাকি মেঠোপথের আত্মহত্যায় পিচ রাস্তার অট্টহাস্য?
অমীমাংসিত স্তব্ধ মৃত্যুর মত অসাম্প্রদায়িকতা ---
সম্প্রীতির কথা এখন শুধু শব’রাই বলে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন