সীমারেখা
১.
একটা দাগ এঁকে দিয়েছিলো জীবনে
কে, কবে জানিনা-
খুঁজে পাইনি
তার উৎসমুখ বা সীমান্ত,
শুধু তির তির করে পাখি উড়ে গ্যাছে বন্ধনী থেকে শূন্যতায়...
ইচ্ছা হয়েছে পার করি
ওই কালো খাদ
ব্যাকরণের সূত্রতালিকা ছুঁড়ে দিয়েছে ছাইয়ের স্তূপে,
নিজেকে উপনিষদের স্তোত্রে শুদ্ধ করেছি বারবার
চুলের ডগা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত
কানে এসেছে প্রভাতী সংগীত,
তবুও-
তির তির করে পাখি উড়ে গ্যাছে বন্ধনী থেকে শূন্যতায়....
২.
পাড়ে বসে আছি কথোপকথনের ছোট ছোট ভাবার্থ নিয়ে
সন্ধ্যা হয়ে রাত্রি নেমে আসছে
মাস্তুলে
দপদপ করে জ্বলছে বাতিদানিটা
ঠিক যেনো
ধাক্কা দিচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রে,
এক-একটা করে ব্লকেজ খুলে রক্তের তেজ বইছে ঊর্ধ্বতালে,
হঠাৎ, একটা ছোট্ট পিন
তাল কেটে দিলো!
ঘুড়ি উড়ছে, ঘুড়ি উড়েছে..
আমি সীমান্ত কেটেছি মাঝ বরাবর
তার ওপর পিনের সংসার...
এই নিয়েই আছি দিনকালে।
আসে না আর
আমার চিলেকোঠার সেই বন্দর
তার ত্রিকালদর্শী মাস্তুল নিয়ে....
৩.
পাখি তুমি ওড়ো শুধু
যখন বিঁধে যাবে শলাকার ধারালো নখ
রক্ত পড়বে টুপটুপ করে
আমি ভান্ড নিয়ে ছুটবো একাল সেকাল
তারপর ঝুরোঝুরো পালকের রাত্রে লিখে দেবো রক্তলিপির কাব্য,
ঘুম ভেঙে জেগে উঠবে মেসোপটেমিয়া পত্রিকা
তোমাকে হারিয়ে যেতে দেবে না দেখো!
শুধু এখন ফিরে এসো বুকে
বাইরে কাঁটাতার....
এই লেখাটা শেয়ার করুন