কথারা কাঁদে
বাপ্পা চক্রবর্তী
এক
ভেসে যায় পালক, ভিতরে স্রোত আমি যাই
মন ঝুঁকে আছে নদী পাড়ের বাঁশ গাছের মত
অক্ষরের ছায়ায় শব্দ রোদ প্রজাপতি
অনাবেশী কথা চিহ্ন খোঁজে অবক্ষয়ের আদলে ।
ঘরের মাটি খন্ডিত হচ্ছে ।
শ্মশানে যারা আছে তারা জানেনা
ডোমের খেলায় গা ভাসায় পরান জ্বলিয়া যায়
জল ঢেলে চুলা ভাসিয়ে ফিরে নিজের কাছে ।
দুই
গা বেয়ে অসংখ্য সুতো ঝুলে আছে
স্বপ্নের আলোমাখা প্রিয়জনের সাথে
আকাশ খুলে দেয় মুক্ত কথা
সাদা মেঘেই অক্ষর শব্দ হয়
দরজার বাইরে রোদ
ঘরময় কথা ওড়ে
প্রজাপতির রঙিন পাখায়
অবুঝ খাতায় ভাঁজ করে রাখা সময় পুড়ে
কথা কাঁদে
প্রতিটি রেখায় এখনো রক্ত চলাচল করে
সূর্য লুকায় । ভরসায় নেমে যাওয়া
কচি হাতে লুকিয়ে থাকতে হয়
কাল আবার উড়াল ।
তিন
শীত যায় যায়
হাওয়া ঢুকে গেছে মনে
ভেসে আসছে মেঘ-ফুল, পাতা; মুকুল দুলছে ।
শুষ্ক মনোভূমির
খাল বিল নদী
চাতক চোখ ।
কত স্নান হল, বৃষ্টি ভেজা হল
মন, দৃশ্যেই ডুব দেয়
ভিজে ওঠে
আসলে হাওয়া বন্দি
মুক্ত, মন আর দৃষ্টি ।
এই লেখাটা শেয়ার করুন