অবস্থান - এক
শর্মিষ্ঠা পাল
ডানে পাঁচ ঘর বামে পাঁচ ঘর পেছনে যত বেহিসাবি
ওপরেও নাকি মহাশূন্য সামনে অগুন্তি ভিড়
মানচিত্রে ছড়িয়ে আছে নীলসবুজ শ্যওলার গালিচা
প্রতিটি খোপ সংরক্ষিত।
একপা থেকে আরেক পায়ের দূরত্ব মাঝে মাঝেই মাপতে যাই
ফিরে আসি আবার নিঃশব্দে শূন্যতার একটা বিশেষ ভূমিকা
আছে বৈকি! আপাদমস্তক ব্যবচ্ছেদে একরাশ দস্তাবেজ
জায়গা করে দেয় অবস্থান থেকে অবস্থানের ।
দীর্ঘায়িত ছায়া ঢাকা পড়ে আড়ালে আর একবার
ভারসাম্যের অভাবে ঘরগুলি তাকিয়ে থাকে
একটা শূন্যের খোঁজে কাটাকুটি ছাড়াই।
অবস্থান – দুই
শর্মিষ্ঠা পাল
আজ আমি বাতিল
কাল হয়তো তুমিও হবে
চোখ খোল, ছেড়ে দাও মূক বোঝা
সামনে লম্বা লাইন!
একটা নগণ্য বাতাস শরীরের শেষ প্রান্তে
অপেক্ষা করছে সবকিছু উড়িয়ে দেবার জন্য
ধোয়া মোছা নাহয় পরে হবে!
অবস্থান - তিন
শর্মিষ্ঠা পাল
প্রেমহীন খেলায় আমি বিশ্বাসী নই
এস যদি সাহস থাকে দুই একটা সংঘাত
অবাঞ্ছিত কিছু নয়।
বেঁচে গেলে নিশ্চয়ই মিটিয়ে দেব
উজাড় করে সব দেনাপাওনা
আগে দখল করো মানচিত্র।
এই লেখাটা শেয়ার করুন