বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর কবিতা
মুখ
আমাদের তিনখানা মুখ
দুইখানা ঘর একটি অসুখ
বন্দী ঘরে আলোছায়া
নিজের মতো খেলে
মাঝে মাঝে আয়নাতে মুখ
পরিপাটি বদলে যাওয়া
ভাল্লাগে না, জানলা খুলি
দেয়াল ঘেরা পাশের বাড়ি
বহুৎ দূর।
প্রতিবেশী
মাথার দু-পাশে চক্র
চিরল চিরল দুটি জিভ
আত্মস্থ, সম্পদ জড়িয়ে ফণা
ঘরের পাশে, আগলে রাখে ঘর।
দৃশ্য
মাছের আঁশের মতো ঢেউ।
সাঁকোর ওপর ছেলেটা রামধনু হয়ে
দাঁড়িয়ে। তার ছায়া ও স্বপ্ন
ভাসতে ভাসতে সাগরের নীলে মিশে যায়
ভাষা
তোমার ভাষা বদলে গেছে
নদীতে পড়ে আছে তারই ছায়া
মাটিতে পায়ের ছাপ
শব্দে মরুভূমির ছবি
খাতায় খাতায় পাখির পালক।
শীত
বাতাস এখন চাবুক মারছে বুকে
নবান্ন কি হারিয়ে গেছে
তাল পাটালি নলেনগুড়?
বলছিলে তো কেক-এর চেয়ে গোকুল পিঠে অনেক ভালো
শীতটা ভীষণ আগুন চায়।
ছবি
পাখা নেই তবু পাখি
ওড়ে অহংকার।
ব্যাকরণ
মুখ ঢাকে যার ব্যাকরণে
সন্ধি সমাস কারকে
কথার ভেতর যায় কি চেনা তাকে?
ধূর্তজনের সম্প্রদানে
সরল অঙ্ক ভুল
লিঙ্গ জানে স্ত্রী না পুরুষ
দ্বন্দ্ব বহুব্রীহি
ণত্ব-স্বত্ব খাচ্ছে হাওয়া
বর্ণ বিপর্যয়।
এই লেখাটা শেয়ার করুন