যুগলবন্দী
বনানী ভট্টাচার্য
প্রতিটি সকালে মেলে ধরি
এক ক্ষয়িষ্ণু মানবশরীর
তিল তিল ক'রে গড়ে তুলেছি যে মনটাকে,
সে অবাধে প্রকাশিত হতে চাইলে
আর লজ্জা পায়না রক্তকণিকারা
এক আন্তরিক যুগলবন্দীর মূর্ছনায় আবিষ্ট থাকি দিনভর
আর কুর্নিশ জানাই ক্ষয়রোধকারী মস্তিষ্ককে
আরও একটি ভোর উপহার পাবার জন্য....
ঈশ্বরকে?
নিশ্চয়----
তিনি সর্বত্র, দেহে-মনে, জড় বা জীবে
তেমনই এ লেখার প্রতিটি শব্দে
প্রতিটি অনুভূতি জুড়ে
সর্বপ্রকার সন্ধানে, বা বন্ধনে
কোনো আনুগত্যের অপেক্ষা না রেখেই
অসীম--- অক্ষয়--- অনন্ত......
পরিমাপ
বনানী ভট্টাচার্য
সঠিক দূরত্ব মেপে ভুলে যেতেই পারো
বাঁধন যখন উল্টো পাকে জড়িয়ে পড়ো,
আঁকড়ে ধরো, সম্পর্কটি আরো....!!
অহর্নিশি সম্ভাবনার আশঙ্কাতে ক্লিষ্ট
তখন জীবন অন্য বাঁকে
আপনমনে ভুল-ঠিকটুকু যথাবিধি বিশ্লিষ্ট....
সাজিয়ে নিয়ে সমান্তরাল অতীত-বর্তমান
না বলা কথার ভারে
পাতায় পাতায় শব্দেরা গাঁথে নতুন আখ্যান
জ্যামিতিক অঙ্কনে সরলরেখায় অগণিত বিন্দু
তেমনি আকাঙ্ক্ষাদের হারে
জলবিভাজিকা স্পষ্ট, তবু জেনো সেখানেই সিন্ধু....
এই লেখাটা শেয়ার করুন