সমকক্ষ
সুবিনয় দাশ
পিছিয়ে রয়েছি তোমার থেকে, তুমি
কোলাহল জগৎ থেকে দূরে
শান্ত নদীর তীরে নিয়ে এলে আমাকে
আদর করলে মনে থাকার মত
জল কিছুই বলল না, শুধু দেখল
আমাদের দু’জনকে, মাতাল পাঞ্জাবিটি
পরে আমি ছবি তুললাম, খাওয়া দাওয়া করলাম
আর ঠাকুরদাস পাড়াতে গিয়ে আমি
সবাইকে বললাম এখন আমি তোমার সমকক্ষ
ব্যস্ততার ফাঁকে
সুবিনয় দাশ
ব্যস্ততার ফাঁকে তোমাকে কাছে ডাকলাম
সারি সারি সুপুরি গাছ তার শান্ত ছায়া
চলো যাবে নাকি ? বসবে কিছুক্ষণ তার নীচে ?
অনেকদিন পাশাপাশি বসি নাই, গল্পগুজবও
প্রায় বন্ধ, পাড়ার দোকানিরা কেউ আর
আড়চোখে তাকায় না আমাদের দিকে
কেউ শিশ দেয়না, স্ল্যাং শব্দ ব্যবহার করে না
এটা কি হল ? চারপাশটা এতো ফাঁকা
একটু শব্দ হলেই ভয় হয়, তুমি কাছে আছোতো ?
হঠাৎ
সুবিনয় দাশ
হঠাৎ তোমার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে
আজ চোখে জল এল
মাসিমা কবিতা ভালোবাসেন তাকে
বসতে দাও, এলোমেলো শহরে এখন
এলোমেলো ঘুরছি, লম্বা ট্রাফিকে
দাঁড়িয়েছি কিছুক্ষণ, সামনের শ্রাবণে
মনসার ভাসানে আবার দেখা হবে
যদি ফ্লাইট আসতে দেরী হয়
মোবাইলতো আছে কথা বোলে সময় কাটাইও
যুদ্ধ
সুবিনয় দাশ
যুদ্ধ শুরু হবে আবার, তবে কবে শুরু হবে জানিনা
ময়লা নিতে আসা যুবকটিকে বলেছিলাম
তুমি না এলে কী হবে ? বসে আঁক
প্রতিযোগিতার বাচ্চারা গাছ লতাপাতার
ছবি আঁকছিল, এই পৃথিবীতে
মানুষের যেমন সুনাম আছে তেমনি
কলঙ্কও আছে, মহাপুরুষেরা পড়েছেন
মহাফাঁপরে, ধন্য আমি সে সবে কান
না দিয়ে নিজের মত ক্রোড়ে দুচার লাইন
কবিতা লিখছি, ব্যস
এই লেখাটা শেয়ার করুন