নিষেধ
নীপবীথি ভৌমিক
ও বাড়িতে কোনোদিন পাখি বসেনি,
সারাদিন অযুত রহস্যাবৃত শান্ত মেঘদেশ
যেন ঘুমিয়ে থাকে বাড়ির দেওয়াল সাজিয়ে---
পোকামাকড়ও বসেছে কি কখনো?
হয়তো বা তাও না।
জানলারা যেন অসহায়।
অপরিচিত মুখ নিয়ে আড়াল তুলে রাখে নিজের সাথে নিজপথে;
নীরব অহংকারের ঘুম
সারাদিন বাড়ির দুই চোখ জুড়ে,
একদিন, ঝড়ের রাতে ঝড় হয়ে এসেছিলো
দাম্ভিক বাতাসঝড়,
শান্ত নীরব বাড়ি যেন অসহায় ঘুমন্ত চোখে বিঁধিয়ে ছিলো নিজেকে
তীক্ষ বিষের দহনে !
সকাল হতে দেখি বাড়ির সামনে হরিধ্বনি , উড়োখই-এর ওড়াওড়ি;
আজ পাখি বসেছে জানলার শার্সিতে।
ভাবনা
নীপবীথি ভৌমিক
তুমি ভাবতেই পারো , আমি অপরাধী
ভাবতেই পারো আমি কোনো বিত্তশালী অহংকৃতা
কিংবা সুন্দরী না হয়েও অপরূপা মুগ্ধময়ী,
দামী মার্সিডিজ আমার নাই বা থাকলো ,
নাই বা থাকলো বিদেশী কোনো সুগন্ধী স্নান…
তবুও তুমি ভাবো আমি সমৃদ্ধির শিখরে বিরাজমান ।
কিংবা নিদেনপক্ষে এভাবেও ভাবতেও পারো
আমি সর্বহারা, অসহায় বা কোনো এক চরিত্রহীনা অন্ধ গলির মেয়ে !
আসলে জানতো , ভাবনাটা শুধুই তোমার,
তোমার ব্যক্তিগত মূলধন।
তাকে সুদ আর আসলের খেলায় জিতিয়ে ক্রমশ বাড়িয়ে চলো তুমি সুদ-আসল
চলতেই পারো তুমি
সেটাও তোমার ব্যক্তিগত ।
তাই তুমি শুধু ভাবো, ভাবো,
আর ভাবনায় ডুবে থাকো
আমি চলি , চলি শুধুই চলি
নিজের মতো চলি নিজের পথে ।
এই লেখাটা শেয়ার করুন