জলকথা
প্রত্যুষ দেব
দুই হাতে জলের মমতা মেখে
আগুন ছুঁয়েছে যে মেয়ে
দহনের দশদিক সে কি চেনে ?
জানে সে কি মৃত্যুর জ্যামিতি
সে কি জানে রোদেরও বিষণ্ণ মুহূর্ত থাকে
বৃষ্টিও আগুন-কথা ধরে রাখে বুকে
সে কি জানে এক কণা অশ্রু যদি প্রবাহে পতিত হয়
নদীরাও ক্রন্দনে তোলে ঢেউ
জানে সে কি, জানে সেই মেয়ে
জলও পোড়াতে জানে খরতাপে
জলও তলিয়ে দিতে জানে
প্রতিদিন অনিঃশেষ অন্ধকারে
সেই মেয়ে জেনেছে কি আজও
বারুদের ভ্রূণ যদি গর্ভে নেয় জলের বালিকা
নদীরাও একদিন প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে।
অন্য ক্যানভাস
প্রত্যুষ দেব
দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে কথা
ঘরময় তবু নীরবতা
তবূও নিঃসঙ্গ হাওয়া সকাতর ঠোঁটে
আত্মার নিবিড় পাঠে
কৃষ্ণচূড়া ফুল হয়ে ফোটে
জানালায় নীল আলো ডেকে বলে, শোনো
সমস্ত আঁধার আজ উজ্জ্বল উৎসবে বদলানো
তবুও নৈঃশব্দ আছে, অন্ধকার আছে
জল, মাটি, নাভিমূলে আর ক্লান্ত প্রণয়ের ছাঁচে
লজ্জানত মধ্যরাতে আড়াআড়ি জেগে থাকে ক্রোধ
দরোজার খিল খুলে ঢুকে পড়ে আততায়ী রোদ
অলিগলি খোলা পথ বন্দরে ও মাঠে
পতঙ্গের মতো আজ আমাদের দগ্ধ দিন কাটে
তবুও মেঘের ছায়া ভীরু প্রেম স্নেহের আড়ালে
স্ফুলিঙ্গের কথা বলে তমসায় মুখোমুখি এখনও দাঁড়ালে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন