বিশ্বায়ন
ষাট ও পঞ্চান্ন দীর্ঘ তিন যুগ
ভাগ করে নিয়েছে সময়ের সাথে হৃদয়ও
একজন অপরজনকে হাড়ে হাড়ে জেনেছে
সোমত্ত মুরগির ঝুঁটি ফোলাবার মতো বুক ফোলায় গর্বে
ফুলের মতো, আকাশের চাঁদের মতো ওদের আত্মজরা
যে-যার মতো দাপিয়ে বেড়ায়
দেখে জুড়িয়ে যায় সবার চোখ
সুখ-সুখ মূর্ত হয়, স্বর্গ-স্বর্গ অনুভূতির জন্ম দেয়
এমন আনন্দহাটেও কুসংস্কৃতির হাত ধরে
কালোছায়ার থাবা আছড়ে পড়ে
পরম্পরা মেলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
ষাট-পঞ্চাশের অবয়ব সম্মিলিত অভিমানে কাঁপে
উত্তরপক্ষ ভ্রূক্ষেপহীন
ওহো বিশ্বায়ন।
নির্জলা সত্যি-মিথ্যে
নির্জলা সত্যি কিংবা মিথ্যে ছাড়া আর কিছু নয়
সত্যের সংস্রবে যাবার তাগিদ বুকে আমি
শ্রয়ণ জুড়ে অকুতোভয় প্রেম খুঁজছিলাম
যে-পথ আমাকে বারবার মিথ্যের মায়ায় জড়িয়ে
দেখিয়েছে মিথ্যেকে পাশ কাটিয়ে সত্যের সোপানে উত্তরণের স্বপ্ন।
শিবজ্ঞানে পাথরও বুকে আগলে রাখার মতো সে-পথ
এতো এতো সত্যি আগলে আসছে
সমপরিমাণ মিথ্যেও
তন্নিবন্ধনে আমার মনে লালিত হতে থাকে
হিমালয় মনস্তাপ; আর আমি
তোমার কাছে, তার কাছেও সত্যি-মিথ্যের ধারায় স্নাত হতে হতে
পথ পেরিয়ে আসছি এক ঘোরগ্রস্ত জীবন।
এই লেখাটা শেয়ার করুন