উপমাবাহুল্যে ক্লেদাক্ত হতে চাই
১
অসীমের করতলে সামান্যকে দান কর আজ, তোমার চেনা বাল্যকাল।
বাল্যবিবাহের মত প্রথম রাতে যে ঘুম এসেছিল, তারপর কেটে গেছে অনেক দিন, তুমি ছিলে সেরাতে নীল ঘোড়সওয়ার
জানালায় দাঁড়িয়ে ছিল ক্ষীণ চাঁদ নাভি ভেজা শাড়ি সেই কি লিখেছে এই কবিতা সব,
আমি আসছি শহরের মেয়ে একটু অপেক্ষা কর,
আজ উপমাবাহুল্যে নষ্ট হলে আমাকে করোনি তো সংযত সেরাতে
আমি পোড়ো বাড়িটার ছাদে খুঁজি তুমি কি কোন আদিমানবী, না সন্মোহনী
যে বেশি আয়নাবিলাসী দেখলেই বোঝা যায় সে তার সাম্রাজ্য গোপনে লুকিয়ে রাখে
আর অসুখের রেণু উড়ে যায় তুলোবীজ হয়ে,
২
সে রাতে ঘুমকে শাসন করতে পারিনি, তাই আমায় জাগিয়ে রাখে ভেসে আসে আমার পূর্বজন্মের চেনা রূপচাঁদ মাছের আঁশটে গন্ধ।
আমিই সেই কবি। ডাকনাম কালিদাস। কুমারসম্ভবের কবি নই তবে অভিজ্ঞান লিখতে চাই। ফুলের বন্দনা একতরফা ভালবাসা ফুল জানে
সেকথা, তবুও ফুলের ভালোই লাগে রাতভোর মিষ্টি সুভাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে জানালায় শিউলিছাপা শাড়ি পরে নাভিমূলে অতসী ফুলের ন্যায় শোভা, আমি গ্রামের সাদাসিদে ছেলে শালীনতার ক্ষরণ জানি না। জানিনা কতটা শালীনতা ক্ষরণ হলে কবিতা অশালীন হয়ে ওঠে, তুমি কি বোঝ ফাগুনের চিতল হরিণীর মত ঘুরে বেরাচ্ছ যে।
৩
আজ তোমার উপমাবাহুল্যে ক্লেদাক্ত হতে চাই, আমি দেখেছি মৌড়ি ক্ষেতের আড়ালে তোমার প্রাণবন্ত ছৌ নাচ,
বুঝেছি দূরত্ব কত মধুর
শোন উদ্ধত মগ্ন নারী
লুকিয়ে রেখোনা না কোন বিষাদ,
জানোনি যাদের খিদের অসুখ তারাও হাসে, আবার কখনো হৃষ্টপুষ্ট কুমিররা দুপুরের শীতে লুকিয়ে কাঁদে, এসব বোঝে না শহরের মেয়ে কোনদিন।
আজ যদি ভালবাসা না দাও ভালবাসা ডুবে যাবে স্বখাত সলিলে,
এসব আমাদের অজ গ্রামের মেয়েরাও বোঝে তুমি শহরের মেয়ে হয়েও বোঝ না।
এই লেখাটা শেয়ার করুন