বায়বীয় সংস্কারের অনুভূতি
উৎসাহ দ্বিগুণ আমাদের ব্যভিচারে, নগদবাক্যে বৈধতা নিয়ে রাহাজানি
মৃতবৎসরের স্মৃতিউৎসব, গন্ধহীন সুষমাহীন তাজা-নরকের প্রতিভাময়
রাতারাতি বিখ্যাত করে; চোরেরাই আজ মিহিরকান্তির দোকান খোলে
পঁচাত্তুরে বুড়োর পেনসানে চলে প্রপঞ্চক বন্ধুদের চা-বিস্কিট আর স্বরাজনৈতিক
কালচার, প্রতি রোববার গাধাদের ময়দান ভারি – বুদ্ধিজীবীদের
গৃহস্থ-আলাপ, ভালো টাকার মাইনেখোরও চায় বগলের
নিচের শেষ পয়সা – শৃগাল-সভ্যতায় জাতভিখিরি শুধু কবিদের পোষায়
অবৈধফাঁসি আজ গ্রহণ করে বাধ্যতামূলক বৃক্ষ, ঝলসানো ছুরির চারিধার
ঘুরে আসে বিধিসম্মত সাহস, একলক্ষ কুকুরের রক্তচক্ষু নিয়ে ধর্ষণ ও
প্রলয়-যৌনতা মানুষের ব্যথাখানি দ্বিধা করে, কে আছো বীর্যবান
আমাদের কে তুমি রক্ষাকারী, স্বর্ণসিংহাসনচ্যূত কে তুমি তিলকসর্বস্ব
আমাদের নগ্ন-চামড়ায় ঘা তুমি শুকিয়ে যাও, আমাদের প্রচলিত
দারিদ্র্য তুমিও এখনো সর্বস্বান্তে পৌঁছোও নি, তোমাকে গিলোটিনে নিয়ে যাচ্ছে
থানাদানাপোষাকমেরামতি লোক, ছেড়ে যেওনা তুমি রক্তমুখি পবিত্র দারিদ্র্য
ব্যবহারজীবিকা এসে ঘরে তুলে দিয়েছে তালা, মিছিলে যাবো
ব’লে তার আগেই সাততাড়াতাড়ি চেয়েছি সঙ্গম, গুলি এবং
খুনের বিনিময়ে রেখে যেতে চাই উত্তরপুরুষ, চোখের জলের
ব্যস্ততাকে ফিরিয়ে দিয়েছি চোখের কোলে, আমরণ
ইট-যুদ্ধে মাথা ফাটাফাটি কাণ্ডের পর আমাদের মনে
পড়ে – ভারতীয়রা শিবভক্ত – গাঁজা ও আর্যশক্তি স্ফুরণে
আমাদের সংস্কার না-খেয়ে আজ কোষ্ঠ হয়ে পড়ে থাকতেই
চায়, জ্বলে নির্দ্বিধায় ভৌতিক হৃদয়
এই লেখাটা শেয়ার করুন