প্রদীপ্ত - অরুন্ধতী এবং বাকিটুকু কাল্পনিক
আমি প্রদীপ্ত
আজকাল প্রতি রাতেই বৃষ্টি নামে
আকাশের মধ্যে জন্ম নেয় অন্য এক আকাশ, যার রঙ স্লেট কালো
সহস্রাধিক স্বপ্ন থেকে উঠে আসে এরকম এক একটি রাত
ঘনিয়ে ওঠা জলের স্পর্শবিন্দুতে সাজিয়ে রাখি তোমার নাম অরুন্ধতী
জোয়ার আসে ... শরীরের গোপন আলপথে ভিড় করে গহন স্পর্শযন্ত্রণা
গর্ভফুল ছেঁকে তোলা সন্ধেয়
তোমার কথা আরও বেশী করে মনে পড়ে অরু
এসো ... ভাসিয়ে নিয়ে যাও আমায়
মৃত্যুর এ মৃগয়া ভূমিতে আলোর স্কেচ এঁকে দাও ... নিয়ে যাও আমায়
সকলে আমায় অরুন্ধতী নামে জানে
আমার কোন আত্মীয় নেই
তুলনার বিশ্বাসের জোর বরাবরই মারাত্মক
এই সহজ কথাটা বুঝে নিয়েছিলাম মাত্র দশ বছর বয়েসেই
তখন আস্তে আস্তে পেখম মেলছে শরীর
দীঘায় অকাল বোধনের আলোয় যেদিন সিঁদুর পরালে
সেদিন চিবুকের নির্জনতা সাক্ষী রেখে আমি সতীত্ব হারিয়েছিলাম
তারপর বছর ঘুরেছে ...
প্রতিরাতে তোমাতেই লীন হয়েছি, তোমাতেই শেষ
তোমার ছিপছিপে শরীর রোমশ বুক আর চওড়া কাঁধে
জীবনের ত্রিকোণ উড়ান প্রায় সমাপ্ত করে ফেলেছিলাম ...
কিন্তু বুঝিনি ...
বিধ্বস্ত হতে কোন নির্ধারিত দিনক্ষণ লাগে না ... সেদিনও লাগে নি
বাঘবন্দী খেলায় অকালবোধন'কে স্বাগত জানিয়েছিল সময়
তোমার আর আমার জীবনের চতুষ্কোণিক মহল্লায়
সেদিন শেষ হয়ে গিয়েছিল সব ... সমাপ্তির আগেই
এতক্ষণ যে একক কথোপকথনটির সাক্ষী ছিলেন আপনারা, সেই প্রদীপ্ত এবং অরুন্ধতী ... দুজনেই ছিল আমার কলেজের বন্ধু (অবশ্য ছিল বলছি কেন, এখনও আছে ...)
জীবনের ধারাবিবরণীতে হয়তো দৈনন্দিন ক্রম রাত্রির হদিশ পাওয়া যায়না সেভাবে, কিন্তু ভুলের একপেশে ছায়াগুলি দীর্ঘতর হয় বেলা বাড়ার সাথে সাথে ...
সঠিক বিবৃতির জন্য যে অন্তরঙ্গ ছায়ার প্রয়োজন, সেটা প্রদীপ্ত বা অরুন্ধতী ... কেউই দিতে পারে নি একে অপরকে, তাই নিরীহ খতিয়ান বিন্দুগুলি পরবর্তী পদক্ষেপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, ভ্রমচক্র সহযোগে
আজকাল নিজেকে সান্ত্বনা দিই এইভেবে যে, বিচ্ছেদের পাশাপাশি আর একটি বিন্যাস হয়তো সম্ভবপর হতো, যদি ... ভাবার উত্তরাধিকার'কে লাগাম দেওয়া যেতো
এই লেখাটা শেয়ার করুন