best free website creator

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]


কবিতা            Home    
অভিজিৎ চক্রবর্তীর তিনটি কবিতা



গান নিয়ে দশ লাইন

নতুন পাতায় বসে চুষেছি এ গান
চুষতে চুষতে শেষে পাথর সমান
পাথর বললে ভুল, প্রস্তরের খোঁজ
স্তরে স্তরে অন্ধকার গাঢ়তর রোজ
কাটাকুটি খালেবিলে নিরন্তর ক্রোধ

চকমকি হয়ে ফের ফিরে ফিরে আসে
আমার গানের ভিড়ে ফেটে যায়, নাশে
কখনো বা তুমি যদি একাকী এ পথে
আমার গানের দিকে আসো কোনোমতে
তুমুল বৃষ্টিতে দেখো গান নেই, রোদ


তোমার দিকে 

ছবি দেখে দেখে লিখি ছবি লাল দিয়ে ঘেরা নীল
বসেছ এমন চোখে জানালায় সমস্ত নিখিল
ম্লান কোনও রমণ, উদ্ধত তাণ্ডব কিছু স্মৃতি
যত নামি মনে হয় কিছু না আপাত ভীমরতি
তোমার দিকেই চোখ তোমার দিকেই বেঁকে গেছে তূণ

যে আমি ডানে তারকা বামে নিদ্রাচোরা পথচারী
ঝুঁকে আসি মধ্যযানে ফুঁয়ে ফুঁয়ে গগনবিদারী
যে আমি জেনেছি অন্ধকারেই ক্ষতমুখ বসন্তে
রঙিন, লাভা মৃত্যুর দিকে ছুঁড়েছি, সব প্রান্তে
যে আমি তবুও ফিরি আজ ঘেঁটে ঘেঁটে তোমারই নুন



মাটির সংগ্রহ 


নিমগন্ধে খুলছি আমি
হাওয়ায় সন্ধ্যা নামছে ঘাটে
ছায়াশীতল জল
               শরীরজুড়ে শান্তি
কোনও বিড়াল নেই বনে
জটায়ুর পালক গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে
মন ভালো হয়ে যাচ্ছে,
ফুরফুরে উড়ে উড়ে
               পাল তুলছে
বালির কণা হারিয়ে যাচ্ছে
ঘন বৃষ্টির ভিতর – আরো আরো
খুলছি, এতো এতো বাঁধন ছিল
এত ধুলি, বাষ্প, এত এত পরমাণু


মাটি ভেঙ্গে হবো ভোর
শাখা-প্রশাখায়, গন্ধে আর সুরায় দৃষ্টি থাকবে ভেতরে।
জীবনে ফল হতে তো চাইনি
অন্ধকারে জল নড়ে
মাথায় বহু বহু জীবনের খালি বাসন
             কী ফল কী ফল
             বাড়ে ঋণ
বৃথা ধান, বৃথা খড়, ঘাস
             রোদ


আমার রথের চাকা খুলে তোমার দিকে গেছে
তুমি ভাবছ কুণ্ডল,
আমি জানি ডুবের মানচিত্র
বিফল হচ্ছে জল
তুমি ভাবছ শিশির, তুমি ভাবছ ধুলো
তাপ জমছে অহরহ, আলোর ডাকে পাখা ওড়ে
বিবাদমান ফসলের সংগ্রহ
আমার সকল ঘাস তুমি
এ বাঁশি তুমি জানো


চারিদিকে অমলিন হল ফুল
সময়ে আলোর নূপুর খুলে গেলে
এ পথে শান্ত গোড়ালির জল
এই সুন্দর তুমি ফোটাও
            পল্লবিত করো তাপ ও বাসনা
ঘুম ওড়ে মাছির মতো
প্রতিরোধ উড়ে যায়
ঘ্রাণ ভুলে মাটিতে ঘন লবণ
এই স্বাদ
এক জীবন সমুদ্রব্যথায় ঘুরপাক শ্রাবণ


ঠিক যেরকমভাবে খুলছে মাছের আঁশ
আমার থেকে তুমি,
গতরে খেটেছি
ভিতরে গুঞ্জফুলের মালা পরালে
এহেন শবরী নামিলে সন্ন্যাসে
নিমফলে চাপিলে ক্ষত
এ আমার জলের মন
সন্ন্যাস নেবার আগে
হে রাজন সবই কর্মফল!
আর নয় কিছু
তিতিক্ষা, ভয়, অবতরণের
জীবনচর্চায় শুধুই পরিত্যাগ!
কোনও দায় নেই আর নাগরিকের!
গুহার রাত্রি অচ্ছেদ্য
পার হবো এই কাদার পথ
বাতাসে কাঁপছে শিখা
এই বুঝি মূলে
এই চেয়েছো সাধনে!



                                                  HOME

[এই লেখাটা শেয়ার করুন]