ইল্যুশন
শবযাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়া দুপুর
আমাকে আলস্য দেয়।
অসুখ বিসুখ তেমন কিছুই নেই
তবু, কুপি নিয়ে বসে থাকা কুব পাখি
কুব কুব কুব খুলে রাখে জিরহুল বিষন্নতা।
যুবকের পাশাপাশি এসে বসেছে যে যুবতী
হাতে তার লুকিয়ে রাখা প্রথম শস্য,
বালুচরী স্তনে আঁচড় কেটেছে রোদেলা বন্দিশ;
সাক্ষী কে? তাকে খুঁজে পাবো নাকি?
লাশ হয়ে হাত রেখেছি কালঘুমে
কাদাজল মাখি-
চেয়ে দেখি ঈশ্বর এখন গেরুয়াধারী
নোনা ঘুমে তলিয়ে গেছে আঁশহীন হেমন্তদিন
আকর্ষ খুঁজেছে সুচ-সুতোয় রিফু করা রোদজানলা;
হতেই পারে ঠিক এমনই সময়
আর কিছুই করবোনা
হাঁটুঘুমে লোফালুফি খেলবে বোতামখোলা দুপুর;
জমাট বাঁধতে বাঁধতে
কাগজের ডাঁই হয়ে আকাশে ছুঁড়ে মারবো
রিফ্যুইজি আলসেমি।
দৃশ্যটা
দৃশ্যটা ছিল এরকম...
দলাটা রাস্তা থেকে নিয়েই যে ছুটল ঢালুর দিকে
তার খুব ইচ্ছে হল চুরি হতে
তিনি একমনে বলতে লাগলেন
চুরির মজাটা কি জানেন?
মুরজ পাখোয়াজ রেতঃ ও রেনুকার অবাক বর্ষণে
কানের লতিতে চড়াই বেঁধে আপনি তখনও জেগে আছেন
কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন
ছাতিমফুলের মত না উড়ে দিশাগ্রস্ত হবেন
ভয়ংকর ফোঁদলের থেকে একটি কণাও ছিটকে আসবে না বৃহৎ বৃত্তের দিকে
এবং সঙ্গবিক্রেতাকে শেষ বিদায় জানিয়ে তিনি সঙ্গীহীন হলেন ।
বিরতিতে বাসমতী চাল বন্ধ হল
ফুলের গন্ধ গেল আগের চেয়ে বেড়ে
আর পরের দৃশ্যে কাচের গ্লাস উলটে আপনি একটি লাল পিঁপড়েকে আটকে দিলেন
পরের দৃশ্যে পলায়ন ছিল বেঁটে আর একেবারেই মনে রাখার মতন নয়
সভয়ে সাঁকো আপনার হাত ধরে ফেলল
আর আপনি স্বাস্থ্যবতী সন্ধির...
এখন আপনি ব্যক্তিজনিক বালিঝড়ে
আপনার চোখে মেটে বিড়ালের সংসার
আপনার হাতে মূল্যবান বীর্য
তবু কিছুতেই বুঝতে পারছেন না
একটা পছন্দসই ঘুমের জন্য নৌকাটিকে কেন বেঁধে নিতে হচ্ছে শুকনো কুঁয়োর কাঁধে
চটির শব্দ করতে করতে কেন কেউ নেমে আসছে প্রথম দৃশ্যে...
HOME
[এই লেখাটা শেয়ার করুন]